স্টাফ রিপোর্টার।। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পঞ্চগড়-১ আসনে নৌকা মার্কার এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলুকে নৌকার বিপরীতে ভোট করায় তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তোফাজ্জল হোসেন তোফা নামে নৌকা মার্কার এক কর্মীর বিরুদ্ধে। গত শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সর্দারপাড়া এলাকায় পঞ্চগড়-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান ভূইয়ার সমর্থনে নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এই বক্তব্য দেন বলে জানা গেছে। পরে নৌকার ওই কর্মীর দেয়া বক্তব্যর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়ে।
ওই নৌকা কর্মীর দেয়া ভিডিও বক্তব্যে বলতে শোনা যায়, ঘরে ঢুকলেও লাভ নাই। এই নাঈমুজ্জামান মুক্তা তোমাকে গুদাম লাগায় রাখফে (রাখবে)। কাজী ডাবলু তোমার সময় শেষ আর কয়েকটা দিন। আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নাইবুল চেয়ারম্যানকে আমরা মাইর দিয়ে ঘরে ঢুকাইছি, নজরুল ওয়ার্কশপকে আমরা ডাঙ্গায়ে (পিটিয়ে) মারে (মেরে) ফেলাইছি (ফেলছি)। এইবার তোমাকে মারবো নৌকার ভোটে। তোমার বাঁচন নাই। ভাল জাতের কচু অল্প জালে সিজে (সিদ্ধ হয়)। আর অজাতের কচুতে যদি সারা রাত জাল দেয়া হয় তবুও সিজে না। আর ডাবলু মিয়া ফ্লাটত ঢুকিছে (ঢুকছে)। এইগুলা হচ্ছে অজাতের কচু। মেইন কথা ভাল লোক ভাল হবে কথার বচন এক। এই শয়তানগুলোকে ভাল করবো এইবার লাঠির চদনে (লাঠি দিয়ে) নৌকার ভোট দিয়ে।
তেঁতুলিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু বলেন, দলের সভানেত্রীর নির্দেশেই আমাদের দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। আমাদের নৌকার প্রার্থী রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীও রয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা যে যার মতো পছন্দের প্রার্থীদের প্রচারণায় নেমেছে। নৌকার কর্মী তোফাজ্জল তার বক্তব্যে বলেছে যেভাবে শ্রমিক লীগ নেতা নজরুলকে হত্যা করেছে সেভাবে আমাকেও হত্যা করবে। তার উস্কানিমূলক এমন বক্তব্যের আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
তবে নৌকা মার্কার এক কর্মী তোফাজ্জল হোসেন তোফার কাছে তার দেয়া ভিডিও বক্তব্যের বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও জেলা যুগ্ম ও দায়রা জজ মোছা. মার্জিয়া খাতুনের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে, এঘটনায় রির্পোট লেখা পর্যন্ত (রবিবার সন্ধ্যায়) কোন লিখিত অভিযোগ হয়নি বলে জানা গেছে। তবে অভিযোগ এলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে গণমাধ্যেম কর্মীদের জানানো হয়। #